নদিয়া:
২৯ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে নদিয়া জেলার শক্তিনগর এলাকার ধামেশ্বর প্রভুর শ্রদ্ধাকুটির প্রাঙ্গণে প্রাতঃকালীন অনুষ্ঠান তথা মঙ্গলআরতি, শ্রী গুরুপূজা ও হরিকথা প্রবচন প্রদান করেন শ্রীধাম মায়াপুরের ইসকন নামহট্ট বিভাগের অন্যতম জেলা প্রচারক তথা নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিদর্শক পূজ্যপাদ বসুদেব নন্দন দাস ব্রহ্মচারী প্রভু। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ জন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। ভজন কীর্তন মঙ্গলাচরণ ও পূজ্যপাদ বসুদেব নন্দন দাস ব্রহ্মচারী প্রভুর শ্রীমুখ থেকে শ্রীমদ্ভাগবতম্ পাঠের মধ্য দিয়ে এই স্থান আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। পূজ্যপাদ প্রভুর পাঠ প্রদানের পর প্রাতঃকালীন মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।
এরপর তিনি ৪ টি শ্রদ্ধাকুটির পরিদর্শন করেন এবং কৃষ্ণনগর রাধানগরের এক শ্রদ্ধাকুটির প্রাঙ্গণে মধ্যাহ্নকালীন অনুষ্ঠানের শুভ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে বৈষ্ণব মহাজন বিরচিত ভজন কীর্তনের মাধ্যমে এই স্থান আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। ভজন কীর্তনের পর এই স্থানে উপস্থিত ১২ জন ভক্তদের উদ্দেশ্যে পূজ্যপাদ বসুদেব নন্দন প্রভু শ্রীমদ্ভাগবত থেকে পাঠ প্রদান করেন এবং ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। এরপর এই স্থানে মধ্যাহ্নকালীন ভোগারতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আরতির পর উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এরপর সন্ধিক্ষণে ধুবুলিয়ার সুখ আনন্দ নিতাই দাস প্রভুর শ্রদ্ধা কুটিরকে কেন্দ্র করে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এইদিন এই প্রভুর পুত্র শ্রী গোপাল প্রভুর হাতে খড়ি কে কেন্দ্র করে এবং শ্রী শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজের উপস্থিতিতে সান্ধ্যকালীন আরতি অনুষ্ঠান সংঘটিত করা হয়। পূজ্যপাদ বসুদেব নন্দন প্রভুও এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন । বৈষ্ণব মহাজন’ বিরচিত ভজন কীর্তনের মাধ্যমে এই স্থান আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। প্রায় ৫০ জন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যারতির পর এই স্থানে পূজ্যপাদ বসুদেব নন্দন প্রভু উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীমদ্ভাগবত থেকে পাঠ প্রদান করেন। সবশেষে উপস্থিত ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।