নদিয়ার জাগুলিয়ায় নবীন মহারাজের আগমন
সিমাহাট,জাগুলিয়া,নদিয়াঃ
আমরা কি একবার গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখেছি, একজন মানুষ যখন মারা যায় তখন বলতে শোনা যায় লোকটি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তার মৃত দেহটি পাশেই পরে আছে। তাহলে যিনি চলে গেছেন তিনি কে?
হ্যাঁ, এটিই হচ্ছে আমাদের জানার মুখ্য বিষয়। আর সেই দেহ ছেড়ে যেটি চলে গেছে সেটিই হচ্ছে আত্মা। যেহেতু আত্মা দেহ ছেড়ে চলে গেলে দেহটির আর কোনো মূল্য থাকে না তার মানে আমি কোন দেহ নই। তাহলে আমি কে? এর উত্তরে বলা জেতে পারে, আমি হচ্ছি জীবাত্মা। আর এই জীবাত্মা যতক্ষণ পর্যন্ত এই জড় দেহটিতে অবস্থান করে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্তই সেই জড় দেহটি সচল থাকে। অর্থাৎ স্বরূপে আমরা সবাই হচ্ছি চিন্ময় আত্মা। দেহটি কেবলই একটি আবরণ মাত্র।
এখন কথা হচ্ছে, এই আত্মাই বা কিভাবে সৃষ্টি হল? আত্মা মুলত দুই প্রকার। জীবাত্মা এবং পরমাত্মা। সুর্যের রশ্মিকণা যেমন সুর্য থেকে উৎপন্ন হয়েছে, ঠিক তেমনি প্রতিটি জীবাত্মাও পরমাত্মা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই পরমাত্মাকেই আমরা ভগবান বলে জানি। সেই পরমেশ্বর ভগবান আমাদের মত কলিহত জীবদের উদ্ধার করার জন্য এই নদীয়া জেলার নবদ্বীপ ধাম তথা মায়াপুর এ আবির্ভূত হন।
আজ শুধু সমস্ত দেশে না সমস্ত পৃথিবী জুড়ে তাঁর বাণী প্রচারিত হচ্ছে মায়াপুর এর ইসকন সংস্থার মাধ্যমে। আর মহাপ্রভুর সেই বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে ২৮ শে নভেম্বর ২০১৯ তারিখে নদীয়া জেলার জাগুলিয়া থানার অন্তর্গত সিমহাটের এক শ্রদ্ধাকুটির প্রাঙ্গণে সান্ধ্যকালীন ক্ষণে এক দিব্য অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীধাম মায়াপুরের নামহট্ট বিভাগের কো রিজিওনাল ডাইরেক্টর শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিবিলাস গৌরচন্দ্র স্বামী মহারাজ। সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকায় সন্ধ্যাআরতির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয়। সন্ধ্যাআরতির পর প্রায় ২৫-৩০ জন ভক্তের উদ্দেশ্যে শ্রীল প্রভুপাদ রচিত শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা থেকে শ্রীমৎ মহারাজ পাঠ প্রদান করেন। রাত্রি ৮:৩০ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলতে থাকে। সবশেষে সমস্ত ভক্তের উদ্দেশ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।